আপনি যে কথাটি শুনেছেন সেটা ঠিক নয়। ছোট ছোট সূরা দিয়েও তাহাজ্জুদ নামায পড়া যাবে। নিয়ম হচ্ছে ছোট ছোট তিন আয়াত অথবা ছোট তিন আয়াতের সমান বড় এক আয়াত দিয়ে ফরয নামায বা যে কোনো নামায আদায় করলে তাতে নামায শুদ্ধ হবে। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ্ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদ নামাযে অনেক লম্বা সূরা পড়তেন। তাহাজ্জুদ নামায সকল নফল ইবাদতের মধ্যে অধিক ফযীলত সমৃদ্ধ। তাহাজ্জুদ নামাযের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য এবং দুনিয়া আখেরাতের কামিয়াবি হাসিল করা অত্যন্ত সহজ। তাহাজ্জুদ নামাযের কথাই আল্লাহ বলেছেন: “রাত্রি জাগরণ কর, তবে কিছু অংশ ব্যতীত। রাতের অর্ধেক কিংবা তারচেয়ে কিছুটা কম কর। অথবা তার চেয়ে একটু বাড়াও। আর স্পষ্টভাবে ধীরে ধীরে কুরআন আবৃত্তি কর” [সূরা মুযযাম্মিল: ১-৪]। অন্যত্র আল্লাহ বলেন, “আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ আদায় কর তোমার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে। আশা করা যায় তোমার রব তোমাকে প্রশংসিত অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন” [সূরা ইসরা: ৭৯] অতএব তাহাজ্জুদের নামায অত্যন্ত ফযীলতের ইবাদাত।