রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্তমানে প্রচলিত লিখিত কোনো খুতবা পাঠ করেননি। বরং তিনি সমসাময়িক বিভিন্ন সমস্যা ও তার প্রতিকারমূলক হিদায়াতি বক্তব্য খুতবা হিসেবে পাঠ করতেন। যেমন ধরুন বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের উপরে যে নির্যাতন চলছে সে বিষয়ে করণীয় কি? যেমন সুনামির কথা, অথবা বর্তমানে ইসলামের নামে বোমা হামলার কথা ইত্যাদি বিষয় খুতবায় আলোচনা করা প্রয়োজন। সমসাময়িক বিভিন্ন সমস্যা এবং তার সমাধান নিয়ে খুতবা পেশ করতেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। সমাজ সংস্কারের কথা বলা এবং মজলুম মানুষের কথা বলা হচ্ছে খুতবার প্রকৃত দাবী। মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের কথা খুতবার মাধ্যমে বলা উচিত। একজন ইমামের জন্য তার মসজিদের এলাকার এবং ঐ সমাজের সংস্কারে কার্যকর ভূমিকা পালন করা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আর এ দায়িত্ব পালনের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে জুমু’আর নামাযের পূর্বে কার্যকর খুতবা প্রদান।